চীনা বারি চীনা- ১


  • জাত এর নামঃ

    বারি চীনা- ১

  • আঞ্চলিক নামঃ

    -

  • অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ

    বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

  • জীবনকালঃ

    ০ দিন

  • সিরিজ সংখ্যাঃ

  • উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ২.৫-৩.০ টন কেজি

  • উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • জাত এর বৈশিষ্টঃ

    1. ১। উচ্চ ফলনশীল প্রারম্ভকি পরিপক্ক জাত। দানা সাদা হালকা। ১০০০ দানার ওজন ৪.৫-৪.৭৫ গ্রাম, স্থানীয় জাতের তুলনায় ফলন তুলনামূলকভাবে ৩৫-৪০% বেশি। স্থানীয় জাতের তুলনায় ৯-১০ দিন আগে পাকে।

  • চাষাবাদ পদ্ধতিঃ

    1. ১ । উৎপাদন প্রযুক্তি : মাটি: পানি জমে না এমন বেলে দোআঁশ মাটি চীনা চাষের জন্য বেশ উপযোগী। বপনের সময়: মধ্য-কার্তিক থেকে পৌষ মাস (নভেম্বর থেকে মধ্য-জানুয়ারি)। বীজের হার: চীনা বীজ ছিটিয়ে এবং সারিতে উভয় পদ্ধতিতেই বোনা যায়। ছিটিয়ে বুনলে হেক্টরপ্রতি ২০ কেজি এবং সারিতে বুনলে ১৮ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। সারিতে বীজ বুনলে ২ সারির মাঝে দূরত্ব হবে ২০-৩০ সেমি। সারিতে চারা গজানোর পর ৬-৮ সেমি দূরত্বে একটি করে চারা রেখে বাকী চারা তুলে ফেলতে হবে। সারের পরিমাণ: সাধারণত অনুর্বর জমিতে চীনার চাষ করা হলেও সার প্রয়োগ করে ফলন বাড়ানো যায়। সার প্রয়োগ পদ্ধতি: সেচ বিহীন চাষে সম্পূর্ণ সার শেষ চাষের সময় প্রয়োগ করতে হবে। কিন্তু সেচের ব্যবস্থা থাকলে শেষ চাষের সময় অর্ধেক ইউরিয়া এবং সবটুকু টিএসপি ও এমওপি সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া বীজ বপনের ৩৫-৪০ দিন পর উপরি প্রয়োগ করতে হবে। পানি সেচ: মাটিতে রসের অভাব হলে ১-২টি হালকা সেচ দেওয়া যেতে পারে। সংগ্রহ: শীষ খড়ের রং ধারণ করলে তখন বুঝতে হবে ফসল কাটার সময় হয়েছে। রোগবালাই: চীনার এ জাতটিতে সাধারণত রোগবালাই দেখা যায় না। দমন ব্যবস্থা: প্রযোজ্য নয় পোকামাকড় চীনায় পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। দমন ব্যবস্থা পোকার আক্রমণ দেখা দিলে আক্রমণের ব্যাপকতা বুঝে কার্বোফুরান ৫ জি (তারপোকার ক্ষেত্রে) জাতীয় দানাদার কীটনাশক (যেমন ফুরাডান, ব্রিফার ইত্যাদি) হেক্টর প্রতি ১৮ কেজি হারে বীজ বপনের সময় প্রয়োগ করতে হবে এবং কাটুই পোকার জন্য প্রতি লিটার পানির সাথে ৫ মিলি ক্লোরোপাইরিফস ২০ ইসি জাতীয় কীটনাশক (ডারসবান/পাইরিফস/অন্য নামের) মিশিয়ে চারাগাছ গুলোর গোড়ায় মাটি ভিজিয়ে ভালভাবে স্প্রে করে দিয়ে এ পোকার আক্রমণকমানো যায়।

চীনা এর জাত সমূহ