থ্রিপস পোকা
এই পোকাকে চোষী পোকা হিসেবে বেশ পরিচিত। গাছ লাগানোর প্রায় ৭-১০ দিন পরেই এই পোকার আক্রমণ চোখে পরে।
লক্ষণ
এই পোকার আক্রমণে মরিচের পাতা কুঁকড়ে যায়।
কচি পাতার রস এই থ্রিপস পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে ফলে পাতা
উপরের দিকে কুঁকড়ে যায় এবং গাছ দূর্বল হয়ে পরে।
পাতার মধ্যশিরায় আশে-পাশে বাদামী রঙ হয়ে
যায় ও শুকিয়ে যায় নতুন বা পুরানো পাতার নিচের পিঠে অনেক ক্ষতি হয় যার ফলে
নৌকার খোলের মতো করে পাতা উপরের দিকে কুঁকড়ে যায়। আক্রান্ত পাতা দেখতে
বিকৃত দেখায়।
থ্রিপস পোকা দমন ও ব্যবস্থাপনা
১) কুঁকড়ানো পাতার পরিমাণ কম হলে ছিঁড়ে ফেলতে হবে। ক্ষেত পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২) জোরে জোরে পরিষ্কার পানি স্প্রে করতে হবে।
৩) মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ানো এড়াতে প্রাকৃতিকভাবে ফসল সুরক্ষার পণ্য
হলুদ স্টিক ট্র্যাপের জুড়ি নেই। চাইলে এই ট্র্যাপ ব্যবহার করে পোকা দমন
করা যায়।
৪) বালাইনাশক হিসেবে ১ কেজি আধা ভাঙ্গা নিম বীজ ২০ লিটার পানিতে ২৪
ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে উক্ত পানি (ছেঁকে নেওয়ার পর) পাতার উপরের দিকে স্প্রে
করা।
৫) আন্তঃ ফসল হিসাবে মরিচের সঙ্গে গাজর চাষ করা যেতে পারে।
৬) আক্রমণ বেশি হলে ফিপ্রোনিল (রিজেন্ট/এসেন্ড/গুলি/অন্য নামের) বা
ডাইমেথয়েট (বিস্টারথোয়েট/টাফগর/অন্য নামে) ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি হারে বা
সাকসেস ১০ লিটার পানিতে ১২ মিলি হারে স্প্রে করে এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৭) বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা।
৮) চারা রোপনের ১০-৩০ দিনের মধ্যে তিন বার ১০ দিন অন্তর অন্তর এই পোকা
দমনের জন্য প্রতি ১০ লিটার পারিতে ৫মিলি এ্যাডমায়ার/টিডো/গেইন ঔষধ প্রতি ৫
শতক জমিতে স্প্রে করতে হয়।
উত্তর সমূহ
থ্রিপস পোকা এই পোকাকে চোষী পোকা হিসেবে বেশ পরিচিত। গাছ লাগানোর প্রায় ৭-১০ দিন পরেই এই পোকার আক্রমণ চোখে পরে। লক্ষণ এই পোকার আক্রমণে মরিচের পাতা কুঁকড়ে যায়। কচি পাতার রস এই থ্রিপস পোকা গাছের কচি পাতা ও ডগার রস শুষে খেয়ে ফলে পাতা উপরের দিকে কুঁকড়ে যায় এবং গাছ দূর্বল হয়ে পরে। পাতার মধ্যশিরায় আশে-পাশে বাদামী রঙ হয়ে যায় ও শুকিয়ে যায় নতুন বা পুরানো পাতার নিচের পিঠে অনেক ক্ষতি হয় যার ফলে নৌকার খোলের মতো করে পাতা উপরের দিকে কুঁকড়ে যায়। আক্রান্ত পাতা দেখতে বিকৃত দেখায়। থ্রিপস পোকা দমন ও ব্যবস্থাপনা ১) কুঁকড়ানো পাতার পরিমাণ কম হলে ছিঁড়ে ফেলতে হবে। ক্ষেত পরিষ্কার – পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ২) জোরে জোরে পরিষ্কার পানি স্প্রে করতে হবে। ৩) মরিচ গাছের পাতা কুঁকড়ানো এড়াতে প্রাকৃতিকভাবে ফসল সুরক্ষার পণ্য হলুদ স্টিক ট্র্যাপের জুড়ি নেই। চাইলে এই ট্র্যাপ ব্যবহার করে পোকা দমন করা যায়। ৪) বালাইনাশক হিসেবে ১ কেজি আধা ভাঙ্গা নিম বীজ ২০ লিটার পানিতে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে উক্ত পানি (ছেঁকে নেওয়ার পর) পাতার উপরের দিকে স্প্রে করা। ৫) আন্তঃ ফসল হিসাবে মরিচের সঙ্গে গাজর চাষ করা যেতে পারে। ৬) আক্রমণ বেশি হলে ফিপ্রোনিল (রিজেন্ট/এসেন্ড/গুলি/অন্য নামের) বা ডাইমেথয়েট (বিস্টারথোয়েট/টাফগর/অন্য নামে) ১০ লিটার পানিতে ১০ মিলি হারে বা সাকসেস ১০ লিটার পানিতে ১২ মিলি হারে স্প্রে করে এদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ৭) বেশি পোকা দেখা দিলে এডমেয়ার ২০ এসএল ০.৫ মিলি./লি হারে পানিতে শিশিয়ে স্প্রে করা। ৮) চারা রোপনের ১০-৩০ দিনের মধ্যে তিন বার ১০ দিন অন্তর অন্তর এই পোকা দমনের জন্য প্রতি ১০ লিটার পারিতে ৫মিলি এ্যাডমায়ার/টিডো/গেইন ঔষধ প্রতি ৫ শতক জমিতে স্প্রে করতে হয়।