চীনাবাদাম
একটি অর্থকারী ফসল। এটি একটি উৎকৃষ্ট ভোজ্য তেলবীজ। বীজে ৪৮-৫০% তেল ও ২২-২৯% আমিষ রয়েছে। বাংলাদেশে প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম চাষ করা হয়।
চীনাবাদামের মোট উৎপাদন প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্যবহার ও উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশে চীনাবাদামের উৎপদন বাড়ানো সম্ভব।
জলবায়ু ও মাটি
উষ্ণ ও অবউষ্ণ মন্ডলের আবহাওয়ায় চীনা
বাদামের বৃদ্ধি ভাল হয়। হালকা বেলে দোঁআশ মাটি চীনা বাদাম চাষের
জন্য সবচেয়ে উপযোগী।
চীনাবাদামের জাত
বাংলাদেশের জাতগুলোর মধ্যে মাইজচর, বাসন্তী, ঝিংগা, ত্রিদানা, বিনা চীনাবাদাম-১, বারি চীনা বাদাম-৫ ও ৬ উল্লেখযোগ্য। নিন্মে
এ জাতগুলোর বিবরণ দেয়া হলো।
মাইজচর
বাদাম (ঢাকা-১)
প্রতি বাদামে ১-২ টি বীজ থাকে, বীজের রং লালচে বাদামী। বীজে
তেলের পরিমাণ ৪৮%। রবি ও খরিফ উভয় মৌসুমে চাষ যোগ্য।
ফলনঃ রবি মৌসুমে প্রতি হেক্টরে ১.৮-২.০ টন
এবং খরিফ মৌসুমে ১.৬-১.৮ টন।
বাসন্তী
বাদাম (ডিজি-২)
প্রতি বাদামে ১-২ টি বীজ থাকে। বীজের
আকার মধ্য লম্বাকৃতি এবং রং লালচে বাদামী। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৮%। রবি
ও খরিফ উভয় মৌসুমে এ জাতটি চাষ করা যায়।
ফলনঃ রবি মৌসুমে প্রতি হেক্টরে ২.০-২.২ টন
এবং খরিফ মৌসুমে প্রতি হেক্টরে ১.৮-২.০ টন।
ঝিংগা
বাদাম (এসিসি-১২)
প্রতি বাদামে ৩-৪ টি বীজ থাকে। বীজের
উপরের খোসা বাদামী রঙের হয়। বীজের তেলের পরিমাণ ৪৯-৫০%। জাতটি
বেশ খরা সহনশীল।
ফলনঃ হেক্টর প্রতি প্রায় ২.৪-২.৬ টন।
ত্রিদানা
বাদাম (ডিএম-১)
বীজের উপরের খোসা গাঢ় লাল এবং প্রতি বাদামে
৩-৪ টি বীজ থাকে। বীজে তেলের পরিমাণ ৪৯-৫০%। জাতটি খরিপ মৌসুমে চাষ করা উত্তম। এ
জাতটির বীজের সুপ্তি কাল নেই।
ফলনঃ হেক্টর প্রতি প্রায় ২.২-২.৪ টন।
বিনা চীনা
বাদাম-১
বীজের খোসা লাল। বীজে
তেলের পরিমাণ ৪৭%। জাতটি টিক্কা ও মরিচা রোগ সহনশীল।
ফলনঃ রবিতে হেক্টর প্রতি প্রায় ২.৫-২.৭ টন
এবং খরিফে ২.৫-২.৩ টন।
বারি
চীনাবাদাম-৫
প্রতি বাদামে বীজের সংখ্যা ১-২ টি।
বাদামের শিরা উপশিরা
খুব স্পষ্ট,
বীজের আকার বড়। বীজের
সুপ্তিকাল ১০-১৫ দিন। বীজে তেলের পরিমাণ ২৫-২৭%। রবি
ও খরিফ উভয় মৌসুমে
চাষ যোগ্য।
ফলনঃ হেক্টরপ্রতি রবি মৌসুমে ২.৭০-৩.১০ টন
এবং খরিফ মৌসুমে ২.০-২.৫ টন
উত্তর সমূহ